ঢাকা ০২:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লকডাউন অমান্য করলে হতে পারে লাখ টাকা জরিমানা

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৮:২১:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুন ২০২১ ২৪৩ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

করোভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আগামী ১ জুলাই থেকে সরকার ঘোষিত সাতদিনের লকডাউনে প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হলেই শাস্তির হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে সরকারের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, লকডাউনের সময়ে জরুরি পরিষেবা প্রদানকারী কর্মরতারা ছাড়া এবং জরুরি কারণ ছাড়া ঘরের বাইরে কেউ বের হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এদিকে বিধিনিষেধ ও নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য প্রজ্ঞাপন আজ বুধবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা হবে। আদেশ অমান্য করে বাইরে বের হলে কী ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে সে ব্যাপারে সরকারের তরফে এখনো স্পষ্ট করে কিছু বলা না হলেও লকডাউন আমান্যকারীকে ২০১৮ সালের ‘সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল আইন’-এর আওতায় সাজা দেওয়া হতে পারে। ‘সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮ এর ১৬ (গ) ধারার বাধা-নিষেধ অনুযায়ী কোনো স্থানে জন সাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ বা সীমিত করণ করে বা ১৪৪ ধারা জারি করে জনবিচ্ছিন্ন করতে পারে সরকার। এ ধারা মতে করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) নিয়ন্ত্রণের জন্য ‘আইসোলেশন’, ‘কোয়ারেন্টাইন’ ও ‘লকডাউন’ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে এ আইনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগ রয়েছে। আইনের ১১ (২) ধারায় বলা হয়েছে, (২) মহাপরিচালক বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মচারীর নিকট যদি প্রতীয়মান হয় যে, যথাযথভাবে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করিয়া তাৎক্ষণিকভাবে কোনো সংক্রামক রোগ সীমিত বা নির্মূল করা সম্ভব নহে, তাহা হইলে তিনি সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে বা সংক্রমিত স্থানে অন্য কোনো ব্যক্তির প্রবেশ নিষিদ্ধ, সীমিত বা নিয়ন্ত্রণ করিতে পারিবেন। এ ধারা অনুযায়ী স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মচারী কোনো এলাকা লকডাউন ঘোষণা করতে পারেন। ১৬ (ক) ধারা অনুযায়ী সন্দেহজনক স্থান জীবাণুমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট স্থানে জনসাধারণের প্রবেশ ও ব্যবহার নিষিদ্ধ বা সীমিতকরণও করা যায়। কোনো ব্যক্তি যদি লকডাউন না মেনে সংক্রামণ ছড়ায় তাহলে ২৪ (২) ধারা মতে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা বা ছয় মাসের জেল দিতে পারবে অথবা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করতে পারবেন। এছাড়া আইনের ২৫(৩) ধারা অনুযায়ী, সংক্রামণ নিয়ন্ত্রণে দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তাকে কোনো ব্যক্তি যদি দায়িত্ব পালনে বাধা প্রদান করেন বা নির্দেশ পালনে অসম্মতি জ্ঞাপন করেন তাহলে তাকে তিন মাসের জেল বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করতে পারেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

লকডাউন অমান্য করলে হতে পারে লাখ টাকা জরিমানা

আপডেট সময় : ০৮:২১:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুন ২০২১

করোভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আগামী ১ জুলাই থেকে সরকার ঘোষিত সাতদিনের লকডাউনে প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হলেই শাস্তির হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে সরকারের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, লকডাউনের সময়ে জরুরি পরিষেবা প্রদানকারী কর্মরতারা ছাড়া এবং জরুরি কারণ ছাড়া ঘরের বাইরে কেউ বের হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এদিকে বিধিনিষেধ ও নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য প্রজ্ঞাপন আজ বুধবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা হবে। আদেশ অমান্য করে বাইরে বের হলে কী ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে সে ব্যাপারে সরকারের তরফে এখনো স্পষ্ট করে কিছু বলা না হলেও লকডাউন আমান্যকারীকে ২০১৮ সালের ‘সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল আইন’-এর আওতায় সাজা দেওয়া হতে পারে। ‘সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮ এর ১৬ (গ) ধারার বাধা-নিষেধ অনুযায়ী কোনো স্থানে জন সাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ বা সীমিত করণ করে বা ১৪৪ ধারা জারি করে জনবিচ্ছিন্ন করতে পারে সরকার। এ ধারা মতে করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) নিয়ন্ত্রণের জন্য ‘আইসোলেশন’, ‘কোয়ারেন্টাইন’ ও ‘লকডাউন’ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে এ আইনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগ রয়েছে। আইনের ১১ (২) ধারায় বলা হয়েছে, (২) মহাপরিচালক বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মচারীর নিকট যদি প্রতীয়মান হয় যে, যথাযথভাবে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করিয়া তাৎক্ষণিকভাবে কোনো সংক্রামক রোগ সীমিত বা নির্মূল করা সম্ভব নহে, তাহা হইলে তিনি সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে বা সংক্রমিত স্থানে অন্য কোনো ব্যক্তির প্রবেশ নিষিদ্ধ, সীমিত বা নিয়ন্ত্রণ করিতে পারিবেন। এ ধারা অনুযায়ী স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মচারী কোনো এলাকা লকডাউন ঘোষণা করতে পারেন। ১৬ (ক) ধারা অনুযায়ী সন্দেহজনক স্থান জীবাণুমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট স্থানে জনসাধারণের প্রবেশ ও ব্যবহার নিষিদ্ধ বা সীমিতকরণও করা যায়। কোনো ব্যক্তি যদি লকডাউন না মেনে সংক্রামণ ছড়ায় তাহলে ২৪ (২) ধারা মতে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা বা ছয় মাসের জেল দিতে পারবে অথবা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করতে পারবেন। এছাড়া আইনের ২৫(৩) ধারা অনুযায়ী, সংক্রামণ নিয়ন্ত্রণে দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তাকে কোনো ব্যক্তি যদি দায়িত্ব পালনে বাধা প্রদান করেন বা নির্দেশ পালনে অসম্মতি জ্ঞাপন করেন তাহলে তাকে তিন মাসের জেল বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করতে পারেন।