ঢাকা ০২:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৫৯:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪ ১৫০ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর, বিশেষ করে ভারতকে রেল ট্রানজিট দেয়ার বিষয়টিকে বড় ধরনের রাজনৈতিক ইস্যুতে পরিণত করতে চাইছে বিরোধী বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো। এসব দলের নেতারা মনে করছেন সামনের দিনগুলোতে ‘এটিই হবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ইস্যু’।

“সরকার এভাবে সব কিছু ভারতের হাতে তুলে দিতে পারে না। আমরা সবার সাথে যোগাযোগ করছি। জনগণকে সাথে নিয়ে আমরা এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হবো,” বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এদিকে রেল ট্রানজিট ইস্যুতে সামাজিক মাধ্যমে তীব্র সমালোচনা দেখা যাচ্ছে সরকারের বিরুদ্ধে। যদিও আওয়ামী লীগ বলছে এগুলো বিরোধীদের ‘পলিটিক্যাল প্রোপাগান্ডা’, যার সাথে সাধারণ মানুষের সম্পৃক্ততা নেই।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, বিরোধী দলগুলো চেষ্টা করতে পারে কিন্তু তাতে জনগণের সমর্থন থাকবে না বলে তিনি মনে করেন। তার মতে ভারতের সাথে ‘কানেক্টিভিটির কারণে’ মানুষ উপকৃত হচ্ছে বলে রাজনীতির মাঠে ‘ভারত ইস্যু’র এখন আর কোন গুরুত্বই নেই।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকালে সম্প্রতি যে দশটি সমঝোতা স্মারকে সই হয়েছে, সেগুলোর একটি হচ্ছে রেল ট্রানজিট।

এর আগে মোংলা ও চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর ব্যবহারের মাধ্যমে পণ্যের ট্রানজিট ও ট্রান্সশিপমেন্ট নিয়ে ভারতের দীর্ঘদিনের জোরালো দাবি পূরণ করেছিলো বাংলাদেশ। এগুলোর বিনিময়ে বাংলাদেশ কতটা অর্থ আয় করছে তা নিয়েও বড় প্রশ্ন আছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার অবশ্য সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ভারতকে রেল ট্রানজিট দেয়ার সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের কোনও ক্ষতি হবে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

আপডেট সময় : ০৪:৫৯:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর, বিশেষ করে ভারতকে রেল ট্রানজিট দেয়ার বিষয়টিকে বড় ধরনের রাজনৈতিক ইস্যুতে পরিণত করতে চাইছে বিরোধী বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো। এসব দলের নেতারা মনে করছেন সামনের দিনগুলোতে ‘এটিই হবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ইস্যু’।

“সরকার এভাবে সব কিছু ভারতের হাতে তুলে দিতে পারে না। আমরা সবার সাথে যোগাযোগ করছি। জনগণকে সাথে নিয়ে আমরা এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হবো,” বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এদিকে রেল ট্রানজিট ইস্যুতে সামাজিক মাধ্যমে তীব্র সমালোচনা দেখা যাচ্ছে সরকারের বিরুদ্ধে। যদিও আওয়ামী লীগ বলছে এগুলো বিরোধীদের ‘পলিটিক্যাল প্রোপাগান্ডা’, যার সাথে সাধারণ মানুষের সম্পৃক্ততা নেই।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, বিরোধী দলগুলো চেষ্টা করতে পারে কিন্তু তাতে জনগণের সমর্থন থাকবে না বলে তিনি মনে করেন। তার মতে ভারতের সাথে ‘কানেক্টিভিটির কারণে’ মানুষ উপকৃত হচ্ছে বলে রাজনীতির মাঠে ‘ভারত ইস্যু’র এখন আর কোন গুরুত্বই নেই।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকালে সম্প্রতি যে দশটি সমঝোতা স্মারকে সই হয়েছে, সেগুলোর একটি হচ্ছে রেল ট্রানজিট।

এর আগে মোংলা ও চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর ব্যবহারের মাধ্যমে পণ্যের ট্রানজিট ও ট্রান্সশিপমেন্ট নিয়ে ভারতের দীর্ঘদিনের জোরালো দাবি পূরণ করেছিলো বাংলাদেশ। এগুলোর বিনিময়ে বাংলাদেশ কতটা অর্থ আয় করছে তা নিয়েও বড় প্রশ্ন আছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার অবশ্য সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ভারতকে রেল ট্রানজিট দেয়ার সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের কোনও ক্ষতি হবে না।